মধ্যপ্রাচ্যে বেড়ে ওঠা একজন আরব খ্রিস্টান হিসেবে, অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে বাস্তব অভিজ্ঞতা দ্বারা আমি চরম সত্য সম্পর্কে শিখেছি।
বই এবং বিভিন্ন নথির মাধ্যমে এই চরম সত্য হয়তো তুলে ধরা যায়, তবে প্রতিদিন চরম সত্যের সাথে বসবাস করার সাথে, কোন কিছুরই তুলনা করা যায় না।
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমার মুসলিম শিক্ষকরা আমাকে বলেছিলেন," শ্রেণীকক্ষতে যে মুসলমান নয়, সে নোংরা প্রাণী। শিক্ষক আমাকে তার নিজের বিশ্বাস থেকে প্রমাণ দিয়েছিলেন, যা সরাসরি কোরান থেকে নেওয়া হয়েছিল যে, সমস্ত ইহুদি হয় শুকর বা বানর: ।
বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।
এধরনের সংস্কৃতিতে, আপনাকে দুইটি সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি গ্রহন করতেই হবে: হয় আপনাকে এইটার অংশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা আপনাকে সত্য খুঁজে বের করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পৃথিবীতে কে বিশ্বাস করবে যে একজন সর্বশক্তিমান আল্লাহ ইহুদিদের, শুকর এবং বানরে রূপান্তরিত করেছে, কারণ তারা শনিবার মাছ ধরতে গিয়েছিলেন? আর এই গল্পটি আমাকে কুরআনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে।
এটার কোন মানে হয় না যে আল্লাহ, যাকে মুসলমানরা সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ ঈশ্বর বলে দাবি করে, সে কাউকে শুকর ও বানরে পরিণত করবে, এই জন্য যে, তারা তাদের সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য মাছ ধরেছিল। বিশেষ করে গল্পটির ব্যাখ্যা পড়ার পর। যা বলে যে, আল্লাহ ইচ্ছাকৃতভাবে মাছকে শনিবার ছাড়া পুরো সপ্তাহ জুড়ে অদৃশ্য করে দিয়েছিলেন কারণ এটি পুনরায় শনিবারেই আবির্ভূত হয়েছিল। এর অর্থ হল আল্লাহ ইহুদীদেরকে ক্ষুধার্ত করে দিয়েছিলেন। ক্ষুধা নিবারণ করার চেষ্টার জন্য তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি কুরানের স্ববিরোধীতা নয় কি? যেখানে সূরা মায়েদার আয়াত ৩ এ আল্লাহ নিজেই বলেছে "অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে; কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল।
ফলশ্রতিতে, খ্রিস্টান হিসাবে আমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সমস্ত অভিযোগ ছাড়াও এটিই আমাকে ইসলাম অধ্যয়ন করতে বাধ্য করেছিল।
আমি যতটা সম্ভব পড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম, যাতে নিজেকে শিখাতে এবং শিক্ষিতো করে তুলতে পারি।
হাই স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর, আমি ইসলামিক আইন অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যা আমাকে আইনজীবী অথবা বিচারক হিসেবে, যেকোন ইসলামিক রাষ্ট্রে কাজ করার জন্য যোগ্য করে তুলবে।
প্রকৃতপক্ষে, আমার ডিগ্রি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানী করে তোলেনি, বরং, ইসলামীক বইগুলি নিয়ে বহু বছরের পরিশ্রম এবং গবেষণা, আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানী করে তুলেছে।
৬ এমন একটা মুহূর্ত এসেছিলো যেখানে আমি অনুভব করেছিলাম যে, আমার অর্জিত জ্ঞানের সাহায্যে মানুষকে ইসলামের সত্য সম্পর্কে অবহিত করার সময় এসেছে।
আমি আশা করি যে, যারা The Deception of Allah বইয়ের উভয় খণ্ড, এবং আমার আসন্ন বইগুলো পড়তে যাচ্ছেন, তারা তাদের প্রশ্নগুলোর জন্য "রাজনৈতিকভাবে ভুল" উত্তরগুলো খুঁজে পাবেন।
আর তোমরা সত্য জানতে পারবে এবং সেই সত্য তোমাদের মুক্ত করবে।” (যোহন ৮:৩২)
আর তারা (কাফিরেরা) ষড়যন্ত্র করেছিল ও আল্লাহও কৌশল করলেন এবং আল্লাহ শ্রেষ্ঠতম কৌশলী।
----------------------
বাইবেল ২ যোহন ১:৭
কারণ জগতে অনেক প্রতারক দেখা যাচ্ছে। এরা স্বীকার করে না, যিশু খ্রিস্ট মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। এরাই হল প্রতারক এবং খ্রিস্টের বিরোধী।
----------------------
একটি গাছ ও তার ফল
ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।
এই বইটি দুটি খণ্ডে রয়েছে।
খণ্ড ১, ইসলাম সম্পর্কে আপনার জানা দরকার এমন বিষয়গুলো আলোচনা করে।
[The Deception of Allah] .
খণ্ড ২, কোরআনের “অলৌকিকতা”সমুহো উন্মোচন করে।
[Quran and Science in Depth] .
আল্লার প্রতারণা
একটি বই যা মুসলমানরা চায় না আপনি এটি পড়েন।
আল্লার কুরআন বলছে
তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়াত, যা আমরা কুরআন পরীক্ষা করার জন্য, একটি মাপকাঠি হিসাবে ব্যবহার করব।
যেহেতু আল্লাহ নিজেই এই নিয়মটি তৈরি করেছেন, যাতে এটি ঈশ্বরের বই কি না, তা পরীক্ষা করা যেতে পারে, তাই মুসলমানদেরকে আল্লাহর নিয়ম এবং তার পরীক্ষার পদ্ধতিকে মেনে নিতে হবে!
আমরা যদি কোরানে বৈপরীত্য খুঁজে পাই, তবে তা প্রকৃত ঈশ্বরের হতে পারে না, যেমনটি আয়াতে বলা হয়েছে।
আসুন আমরা মুসলমানদের দাবী দেখি, এবং কোরানের বৈপরীত্য উন্মোচন করি।
আমরা মুসলমানদের তথাকথিতো বৈজ্ঞানিক অলৌকিকতার বিষয়ে তাদের মিথ্যা দাবিগুলোও প্রকাশ করবো।
হারুন ইয়াহিয়া দাবির বিরুদ্ধে উত্তর
(Harun Yahya)
হারুন ইয়াহিয়ার ওয়েবসাইটে (http://miraclesofthequran.com, জনাব হারুন কোরআন সম্পর্কে অসংখ্য দাবি করেছেন। আমি দ্য ডিসেপশন অফ আল্লাহ ভলিউম ১ এবং ২ (The Deception of Allah, Quran and Science in Depth) এর মাধ্যমে পাঠকদের দেখাব, যে এই প্রতিটি দাবি কীভাবে মিথ্যা, এবং জনাব হারুনের মিথ্যা দাবিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
হারুন ইয়াহিয়ার ওয়েবসাইটে (http://miraclesofthequran.com), জনাব হারুন কোরআন সম্পর্কে অসংখ্য দাবি করেছেন। আমি দ্য ডিসেপশন অফ আল্লাহ ভলিউম ১ এবং ২ (The Deception of Allah, Quran and Science in Depth) এর মাধ্যমে পাঠকদের দেখাব, যে এই প্রতিটি দাবি কীভাবে মিথ্যা, এবং জনাব হারুনের মিথ্যা দাবিগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
নিম্নলিখিত পয়েন্টগুলি তার ওয়েবসাইট থেকে তার কিছু দাবি। এই বইটিতে আমি কোরানের এই আয়াতগুলোর আসল অর্থও তুলে ধরব, যেগুলোর মধ্যে হারুন সাহেব পাঠকদের প্রতারণা করার চেষ্টা করছেন।
আমি জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়ে তার সমস্ত দাবি একটি বিভাগে রাখব, কারণ সমস্ত দাবি একে অপরের সাথে যুক্ত।
সেদিকে এগিয়ে যাওয়ার আগে, আমি আপনাদের ইসলাম এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে একটি ভূমিকা দিতে চাই।
ইসলাম তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নামের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত:
১. আল্লাহ হলেন ঈশ্বর এবং তাঁর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে।
২. ফেরেশতা জিবরীল (গ্যাব্রিয়েল), যাকে মুসলমানরা পবিত্র আত্মা বলে (কিন্তু এই দাবিটি কখনই কোরানে করা হয়নি)
৩.মুহাম্মদ ইসলামের নবী, তিনি আল্লাহর নবীদের সীলমোহর (দাবীকৃত ১২৪,০০০ নবীদের মধ্যে)
ইসলাম ধর্মের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
• আল্লাহ দুই জগতের (মানব ও জ্বীন) উপাস্য, কিন্তু ভাবার বিষয় কিভাবে আল্লাহ ফেরেশতাদের কথা ভুলে গেলেন! কারণ তারা তো এই দুই জগতের নয়!
• আল্লাহ ১,২৪,০০০ মুসলিম নবী পাঠিয়েছেন
[তুফাত আল-আবিব আলা শারহ আল-খতিব বই, পৃ. ৪৩১,৪৩২]
• কিছু মুসলমান মুনাফিক (কোরআন ৪:১৪২)
• কুরআন ব্যতীত আল্লাহর সমস্ত কিতাবই বিকৃত (কুরআন ৪:৪৬)
• মুহাম্মদ সর্বশেষ নবী (কোরআন ৩৩:৪০)
• অমুসলিম বন্দীদের শিরশ্ছেদ করা (কোরআন ৮:৬৭; ৪৭:৪)
• আল্লাহর কোন পুত্র নেই (কোরআন ৪:১৭১)
• ইসলামে ফেরেশতাদের নাম নারীর নামে রাখা যাবে না; শুধুমাত্র অমুসলিমরাই তা করে (কুরআন ৫৩:২৭)
• আল্লাহর কোন বান্ধবী নেই (মুহাম্মদের সময় পর্যন্ত), (কুরআন ৬:১০১; ৭২:৩)
• আল্লাহর একটি মাত্র পা (একটি শিন) (কোরআন ৬৮:৪২)
• আল্লাহর দুটি হাত তার ডান দিকে (আল্লাহর কোন বাম হাত নেই), (কোরআন ৪৯:১)।
দ্রষ্টব্য: ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে, বাম হাতটি অপবিত্র (যেমন টয়লেটের জন্য ব্যবহৃত)। শুধুমাত্র শয়তানেরই অপবিত্র (বাম) হাত আছে এবং ব্যবহার করে (সহীহ মুসলিম, বুক ০২৩, হাদিস ৫০০৭)। আল্লাহর হাত নাপাক থাকতে পারে না। তাই আল্লাহর দুই হাত অবশ্যই ডান হাত হতে হবে।
• আল্লাহর একটি মুখ আছে (কোরআন ৫৫:২৭)
• আল্লাহ কন্যা সন্তান গ্রহণ পছন্দ করেন না (কোরআন ৫৩:২১-২২)
• যতক্ষণ না আপনি আল্লাহকে প্রশ্ন না করবেন আল্লাহ সবকিছু জানেন, এবং দুঃখের বিষয় কাউকে আল্লাহকে প্রশ্ন করার অনুমতি দেওয়া হবে না (কোরআন ৫:১০১-১০২)
• মুসলিমরা অবিশ্বাসীদের (অমুসলিমদের) বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে পারে না (কোরআন ৩:২৮; ৪:১৩৯; ৫:৫১, ৫৭, ৮১)
• শয়তান সকল অ-বিশ্বাসীদের (অমুসলিমদের) বন্ধু, (কোরআন ৭:২৭;৩০)
• অবিশ্বাসীরা কেবল একে অপরের বন্ধু, কিন্তু মুসলমানদের নয় (কুরআন ৮:৭৩)
• মুসলমানরা তাদের নিজের পরিবারকেও বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতে পারে না যদি তারা অবিশ্বাসী (অমুসলিম) থেকে হয়, (কোরআন ৯:২৩)
• আল্লাহ প্রত্যেক জাতির কাছে একজন নবী পাঠিয়েছেন, কিন্তু তবুও মুসলমানরা চীন, ভারত, জাপান ইত্যাদি জাতির জন্য একজন নবীর নাম বলতে পারে না (কোরআন ১০:৪৭; ১৬:৩৬, ৮৪, ৮৯; ২৩:৪৪)
• আল্লাহ প্রত্যেক জাতির কাছে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য একজন নবী পাঠিয়েছেন (কোরআন ১৪:৪)। আমি ভাবছি রাশিয়ান ভাষায় আল্লাহর কিতাব কি?
• কুরআন মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ। এর দুই ধরনের হুকুম রয়েছে: একটি যা অনুশীলনের জন্য বৈধ এবং অন্যটি রহিত। রহিত করা মানে আয়াতগুলি হয় আছে বা অনুপস্থিত, কিন্তু মুসলমানদের আর সেগুলি অনুশীলন করার অনুমতি নেই (কুরআন ২:১০৬)
• আল্লাহ কুরআন থেকে সমস্ত শয়তানী আয়াত বাতিল করবেন (কোরআন ২২:৫২)
• কাবা হল একজন মুসলিমের কাছে তাদের প্রার্থনার দিক চিহ্নিত করার উপায় ছাড়া আর কিছুই নয় (কোরআন ২:১৪৩) যার অর্থ কাবা একটি পবিত্র ঘর নয় যেমনটি কোরান ৫ :৯৭ এ উল্লেখ করা হয়েছে।
• মৃত মানুষ জীবিতদের সমকক্ষ নয় (কোরান ৩৫:২২)। তাহলে আমাদের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে মুহাম্মদ যেহেতু মরে গিয়েছে আর যীশু জীবিত থাকায় মুহাম্মাদ যীশুর সমান নয়!
• যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মারা যায় তারা জীবিত (কোরআন ২:১৫৪)
• আল্লাহ সর্বোত্তম চক্রান্তকারী (কোরআন ৩:৫৩; ৭:৯৯; ৮:৩০; ১০:২১; ২৭:৫০)
• সমস্ত মালিকানা আল্লাহর, এবং তিনি সকল চক্রান্তের মালিক (কোরআন ১৩:৪২)
• আল্লাহ যাকে প্রতারণা করেন তার জন্য কোন পথনির্দেশ নেই (কোরআন ৪:১৪৩; ৬:৩৯, ১২৫; ৭:১৭৮, ১৮৬; ১৩:২৭; ১৬:৩৭, ৯৩)
• আল্লাহ যাকে ইতিমধ্যে পথ দেখিয়েছেন তাকে প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করতে পারে! (কোরআন ৯:১১৫; দেখুন তাফসির আল-জালালাইন অনুবাদ। ফেরাস হামজা, এবং তাফসির ইবনে-কাথির, খণ্ড ২, পৃ. ৩৯৫{আরবি})
• আল্লাহ কাফেরদের আরও বিপথগামী করার জন্য একটি কুৎসিত আচরণকে সৌন্দর্যের মতো দেখাবেন! (কুরআন ৬, আয়াত ১৩৭)
• মহিলারা পুরুষদের সমান নয় (কোরআন ৩:৩৬)
• মুসলিম পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের মারধর করতে পারবে (কোরআন ৪:৩৪; ৩৮:৪৪)
• মুসলিম পুরুষরা একই সময়ে চারজন মহিলাকে বিয়ে করতে পারে এবং বিবাহের বাইরে সীমাহীন সংখ্যক ক্রীতদাসের সাথে সহবাস করতে পারে (কোরআন ৪:৩)
• মুসলিম পুরুষরা বিবাহিত দাস মহিলাকে ধর্ষণ করতে পারে (কোরআন ৪:২৪)
• মুসলিম পুরুষরা তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণ করতে পারে এবং যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তাদের যৌনাচারে বাধ্য করতে পারে (কোরআন ২:২২৩)
আল্লাহ কে?
আমরা যদি মুসলমানদের জিজ্ঞেস করি আল্লাহ কে, তারা উত্তর দেবে যে আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, সর্বজ্ঞাতা।
তাদের উত্তরটি তাদের ঈশ্বর সম্পর্কে অন্য সবার কাছ থেকে পাওয়া উত্তর থেকে খুব বেশি আলাদা নয়, তবে যখন আল্লাহ নামক ঈশ্বরের কথা আসে, তখন অনেক সমস্যা রয়েছে এবং আমরা সেগুলো নিয়েও আলোচনা করব।
আল্লাহর ব্যক্তিকে বোঝার আগে তার নাম বুঝতে হবে। মুসলমানরা আমাদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করে যে আল্লাহ খ্রিস্টান এবং মুসার ঈশ্বর।
এমনকি তারা আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে আল্লাহ একটি আরামাইক শব্দ এবং যীশু যখন আরামাইক ভাষায় কথা বলেছিলেন তখন তিনি এটি ব্যবহার করেছিলেন। এই দাবি কতটা সত্য?
কয়েক বছর আগে যখন "দ্য প্যাশন অফ দ্য ক্রাইস্ট" সিনেমা প্রকাশিত হয়েছিল, তখন মুসলমানরা মুভি থেকে ক্লিপগুলি নিয়েছিল যেখানে যিশু ঈশ্বরের নামটা আরামাইক ভাষায় বলেছেন। তারপরে তারা সেই ক্লিপগুলি ব্যবহার করে তাদের নিজস্ব ভিডিও তৈরি করে তাদের দাবি প্রমাণ করার জন্য যে আল্লাহ নামটি আসলেই আরামিক। যে আরামাইক শব্দটি তারা গ্রহণ করার চেষ্টা করছিল তা হল Elah, El , Al নয়, যেমন Allah।
এখানে কোরান ৪:১২৫ এ একটি দ্রুত এবং সহজ বোঝার বিষয় রয়েছে। কুরান ৪:১২৫
কোরান ৪:১২৫ থেকে, আল্লাহর জন্য দুটি শব্দ আছে, কিন্তু তাদের একই অর্থ নেই।
আপনি যদি আরবি না জানেন তবে আপনি একটি অক্ষর বাদে উভয় শব্দের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করবেন না, তবে আসলে তাদের পার্থক্য তার চেয়ে অনেক বেশি।
প্রথমটা হচ্ছে لِلّٰهِ (লিল্লাহ) এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে اللّٰهُ (আল্লাহ)।
আরবিতে আল কোন কিছূকে নির্দিষ্ট করে বুঝাতে ব্যবহার হয় যা ইংরেজিতে The এর অনুরূপ।
সুতরাং আমরা যদি আল্লাহ থেকে আল বাদ দেই এবং লিল্লাহ থেকে লিল বাদ দেই, তাহলে থাকবে শুধু লাহ দেবতা। যে লাহ শব্দটা দুটো নামের ক্ষেত্রেই একই।
আসলে লাহ হচ্ছে চন্দ্র দেবতা, মিশরীয় প্রধান চন্দ্র দেবতা যাকে আরবরাও উপাসনা করতো। ইংরেজিতে, Lillah অনুবাদ করেছে to god এবং আল্লাহ অনুবাদ করা হয়েছে to The god।
لّٰهِ = লিল লাহ= to god
اللّٰهُ = আল লাহ=The god
আপনি উপরের উদাহরন থেকে দেখতে পাচ্ছেন, যদিও লিল্লাহ এবং আল্লাহ একেকটি আরবীতে একটি শব্দ হিসেবে লেখা হয়েছে, লিল এবং আল, নিজেরা লাহ শব্দের অংশ নয়- অর্থাৎ লিল্লাহ এবং আল্লাহ প্রতিটি দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত।
আপনি উপরের উদাহরন থেকে দেখতে পাচ্ছেন, যদিও লিল্লাহ এবং আল্লাহ একেকটি আরবীতে একটি শব্দ হিসেবে লেখা হয়েছে, লিল এবং আল, নিজেরা লাহ শব্দের অংশ নয়- অর্থাৎ লিল্লাহ এবং আল্লাহ প্রতিটি দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত।
আবার, আল্লাহর কাছে লিল্লাহ =to god এবং আল্লাহ=The god .
আরবি ভাষায়, আল সর্বদা "the" এর সমান এবং এটি এমন নামের সাথে সংযুক্ত থাকে যা শুধুমাত্র ঈশ্বরের জন্য দায়ী।
এই কারণেই আল্লাহর ৯৯টি নাম আল বা "দ্য" দিয়ে শুরু হয়।
এই বিষয়টি মনে রাখুন যে, "the" শব্দটি নামের অংশ নয়।
এটি কেবল একটি ভাষার সরঞ্জাম, যা নির্দেশ করে যে এই নামটি ঈশ্বরের জন্য নির্দিষ্ট; কেবলমাত্র ঈশ্বরই এই স্বীকৃতি পেতে পারেন যতক্ষণ এটি একটি নাম এবং কোনও বর্ণনা নয়।
উদাহরণস্বরূপ, আমরা "The Muhammad" বলতে পারি না, কারণ মুহাম্মদ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির নাম।
উল্লেখ্য যে আল-লাত এবং আল-উজা দেবীর নাম আল্লাহর নামের সাথে অনেক মিল আছে, কারণ উভয়ই আল দিয়ে শুরু হয় কারণ তারা দেবতা।
এটি লক্ষণীয় যে, কুরআনে মসীহকে আল-মসীহ বলা হয়েছে। এর অর্থ তিনি সারা পৃথিবীতে একমাত্র মসীহ। কুরআনে তিনি একমাত্র ব্যক্তি যার নামের সাথে "আল" বা "the" যুক্ত রয়েছে।